নতুন র্যাঙ্কিংয়ে বড় উত্থান বাংলাদেশের কাটার মাস্টারের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রকাশিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার জেকব ডাফি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন পর ফিরে পেয়েছেন নিজের পুরনো ঝলক, এক লাফে ঢুকে পড়েছেন শীর্ষ দশে।
নতুন তালিকায় ৭৩৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন জেকব ডাফি। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে দারুণ বোলিংই এই সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। ডাফির ঠিক পরেই রয়েছেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ স্পিনার আদিল রশিদ, যিনি ৭০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ভারতের রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, যিনি ৭০৬ পয়েন্ট নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন (৬৯৪), পঞ্চম স্থানে অস্ট্রেলিয়ার লেগ-স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা (৬৯৩)।
মুস্তাফিজের দারুণ প্রত্যাবর্তন
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে আশাজাগানিয়া খবর নিয়ে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। একসময় আইসিসির সেরা দশ বোলারের তালিকায় থাকা এই বাঁহাতি পেসার কিছুটা সময় পিছিয়ে পড়লেও আবারও ফিরেছেন নিজের পুরনো রূপে। সদ্য প্রকাশিত র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, মুস্তাফিজ ১৭ ধাপ এগিয়ে ৬৫৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছেন। তার এই উত্থান শুধু পরিসংখ্যানে নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও দৃশ্যমান।
র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে থাকা অন্য বোলারদের মধ্যে আছেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬৭৯ পয়েন্ট) ষষ্ঠ স্থানে, ভারতের রবি বিষ্ণোই (৬৭৪) সপ্তম স্থানে এবং আফগানিস্তানের রশিদ খান (৬৬৪) অষ্টম স্থানে।
সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ র্যাঙ্কিং?
র্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে প্রকাশিত চিত্রে কিছু খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার সেরা রেটিংয়ের পাশে ২০২৫ সালের তারিখ দেখা গেছে, যা এটিকে একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ র্যাঙ্কিং হিসেবেও ব্যাখ্যা করার সুযোগ তৈরি করে। তবে বাস্তবতার ঘনঘটা এবং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ বলছে, তালিকাটি বর্তমান ফর্মের নিরিখেই তৈরি।
নতুন র্যাঙ্কিংয়ে স্পিনারদের আধিপত্য থাকলেও, জেকব ডাফির মতো একজন পেসারের শীর্ষে উঠে আসা এবং মুস্তাফিজের ফিরে আসা টি-টোয়েন্টি বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য ও উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের জন্য মুস্তাফিজের এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে একটি বড় আনন্দের খবর, যেটি সামনের সিরিজগুলোতে দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে।
জাহিদ/